সম্প্রতি ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টার নতুন এক জরিপের ভিত্তিতে জানিয়েছে ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় তিনগুণ বাড়বে।
জরিপ সংস্থা পিউ আরও বলছে, জার্মানিতে অভিবাসী গ্রহণের কারণে ২০১৬ সালে ৬.১ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়বে ১৯.৭ শতাংশ। অথচ পূর্ব ইউরোপীয় দেশ পোল্যান্ডে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধির হার দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ। এতে উভয় অংশের মাঝে পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
ইউরোপের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অভিবাসীকে অনেকেই চিহ্নিত করছেন। তবে গবেষণা বলছে, এখন শুধু নতুন অভিবাসন নয়, আগে যারা ইউরোপে এসেছেন, তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিও একটি বড় কারণ হবে।
এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮ দেশ এবং নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড যদি অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় তবুও সেখানকার তরুণ মুসলিমদের বয়স ও উচ্চ জন্মহারের কারণে পশ্চিম ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকবে। কিন্তু পূর্ব ইউরোপে এ হার সর্বদাই কম থাকবে।
ইউরোপে গড় জন্মহার ১.৬ শতাংশ, যেখানে মুসলিমদের জন্মহার ২.৬ শতাংশ।
এছাড়া ইউরোপে অমুসলিমদের চেয়ে মুসলিমরা বেশ তরুণ। ১৫ বছরের কম বয়সী মুসলিমদের হার ২৭ শতাংশ এবং নন-মুসলিমদের হার ১৫ শতাংশ।
২০১৬ সালে ইউরোপের ৩০টি দেশে মোট ৪.৯ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৮ লাখে। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৯৫ লাখ। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতি বছর ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় ৫ লাখ মুসলিম অভিবাসী আসছে। ইউরোপে মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে তাদের অবদান রয়েছে।