এস আই সুমনঃ মহাস্থান(বগুড়া)প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর উপর অবস্থিত উত্তরবঙ্গের প্রধান যোগাযোগের একমাত্র সেতুপথ বৃষ্টি ও মাত্রাতিরিক্ত ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে মাঝখানে ফাটল ধরে দেবে গিয়ে এখন মৃত্যুর ফাঁদে পরনিত হয়েছে। তবুও ট্রাফিক আইন অমান্য করে মহা ঝুঁকি নিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করছে। প্রায় ৫০/৬০ বছর পূর্বে নির্মিত সংকীর্ণ সরু এই সেতুটি মাঝে মাঝে সড়ক দূর্ঘটনায় রেলিং ভেঙ্গে যায়। সেটি নামে মাত্র সংস্কার করে সচল রাখা হয়। ব্রীজের প্রসস্ত বাড়াতে একাধিক বার সংবাদ প্রকাশ করলেও কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। ব্রীজটি সরু হওয়ায় গত দেড় বছরে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১০টি। এতে প্রাণহানী ঘটে অন্ততপক্ষে ৫টি। মাস কয়েক পূর্বে ব্রীজের পশ্চিম পাশে একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এরপর হানিফ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস উক্ত ব্রীজ অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রীজ সংলগ্ন নদীর মাঝে ঝুলিয়ে যায় এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় প্রায় ৫০জন বাসযাত্রী। এরপর ওই একই স্থানে একটি সবজি কপি বোঝাই ট্রাক উল্টে চালক ও সহকারী অাহত হয়। পরিশেষে বড় দূর্ঘটনা হয় গত ১৫ মে, সোমবার ভোর ৬টায় উল্লেখ্য ব্রীজের নিকট পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকঅাপের মুখোমুখী সংঘর্ষে নিহত হয় বগুড়া সদরের এরুলিয়ার ইজা প্রামানিকের ছেলে রায়হান প্রামানিক (৩৫) ও রংপুরের মিঠাপুকুরের আলু ব্যবসায়ী জহুরুল (৫০)। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বিকালে ব্রীজটির মাঝামাঝি স্থানে অাকস্বিক ফাটলে দেবে যায়। ফলে ব্রীজটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে অনেক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে সচেতন এলাকাবাসী আশংকা করছেন। বেশ কয়েকজন গাড়ী চালক আক্ষেপ করে আমাদের প্রতিনিধি এস আই সুমনকে জানান,এ মহাসড়কটি জনগুরুত্বপর্ন হলেও কর্তৃপক্ষ কেন উদাসিন তা বুঝে উঠেনা, ব্রীজটি ফাটল ও দেবে যাওয়ায় ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রচারনার মাধ্যমে ব্রীজে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড লাগিয়ে সতর্কতা জানিয়ে ভারি যানবহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়াও দিন রাত কাজ করছে ট্রফিক ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। কিন্তু এর পরেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাথর বোঝাই ও অধিক পণ্যবাহী ভারী যানবহন। তাই যেকোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসী বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অালহাজ্ব শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে ঝুঁকি পুর্ন এই ব্রীজটি যত দ্রুত সম্ভব নির্মানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন। এঘটনায় এলাকা জুড়ে বেশ অাতংক সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্রীজটির ফাটলস্থান দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভীর করছেন। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দ্রুত ব্রীজটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।