সিলেটের আলো:: প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন ওসমানী স্মৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুর রহমান লায়েক। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন।
গত ৩১ আগস্ট সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আব্দুল আহাদকে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাছনা বেগম বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর ৩ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান লায়েক বলেন, ‘আহাদ হত্যাকাণ্ডে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। মরহুম আব্দুল আহাদ দীর্ঘ দিন আমার সাথে সামাজিক সংগঠন করে আসছেন। আব্দুল আহাদের স্ত্রী ঘটনার পর এজহারে আমার নাম না থাকায় আমার প্রতিপক্ষ প্রভাব বিস্তার করে চার্জসীটে আমার নাম অন্তভূক্ত করে। যাহা রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
লায়েক বলেন, যে সময় আহাদ হত্যাকান্ড ঘটে এই সময় বাসায় আমি অবস্থান করি। রাত ১১ ঘটিকায় একটি কল আসে আহাদকে দূরবৃত্তরা হত্যা করছে এখন ওসমানীতে লাশ আছে। খবর শুনে সাথে সাথে ছুটে যাই হাসপাতালে। পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব ঘোষিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধীনায়ক জেনারেল ওসমানী শততম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে থাকার কারনে জানাযায় উপস্থিত হতে পারি নি। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে পুলিশ চার্জসীটে আমাকে উল্লেখ্য করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। ‘আব্দুল আহাদের হত্যার সময় পুলিশ যে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করছে তা প্রকাশ করলে প্রকৃত ঘাতকরা ধরা পড়বে। যারা প্রবাসে আহাদ হত্যাকান্ডের বিচার চাইছেন, তাদের সাথে আহাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। মরহুম আব্দুল আহাদের সাথে আমার কখনো বিরোধ ছিল না। আব্দুল আহাদ ওসমানী স্মৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ দিন সামাজিক সংগঠন করেছি। আমি আহাদ হত্যার প্রকৃত ঘাতকদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাই।