অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ড্রেজার ও বলগেটে আগুন ধরানোকে কেন্দ্রকরে উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তা রফিকুল আমিন এ মামলা করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে ও একাধিক অডিও-ভিডিও ক্লিপসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী,দলইকান্দি,তালবাড়ী,খালপার এলাকায় হাইকোট, প্রধানমন্ত্রীর পাইলট প্রকল্প, ডিসি অফিসের লিজের দোহাই দিয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, গাছবাড়ী তফসিল অফিসের কর্মকতা, রফিকুল আমিনের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় দলইকান্দিস্থ সুরমা নদী থেকে লক্ষ-লক্ষ গণফুট বালু উত্তোলন করছে উপজেলার তালবাড়ী গ্রামের মৃত মাহমদ আলী মাষ্টারের ছেলে জাবির আশরাফ চৌধুরী, সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মকসুদ আহমদ ও আফতাব নামের অর্থলোভী কতিপয় একাধিক চক্র।
যার জন্য এসব এলাকার নদীর তীরবর্তী গ্রাম,বাজার,শিক্ষা প্রতিষ্টান-মসজিদ সুরমা নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ভোক্তভোগীরা বালুউত্তোলনের প্রতিবাদে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পান নি। স্থানীয় সকল পত্রিকায় এনিয়ে ধারা বাহিক ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হলেও নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা। সম্প্রতি সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া সুলতানাকে ম্যানেজ করে গাছবাড়ীর নিজ দলইকান্দির মহিষের বাজার এলাকায় জাবির আশরাফ চৌধুরী অবৈধ বালু উত্তোলন করতে শুরু করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া সুলতানাকে বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি স্থানীয়রা।
গত ২৯ জুলাই জাবির আশরাফসহ তার সহযোগী ঐ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রফিক মেম্বার উরফে কানা রফিক, সেলিম আহমদ, নাজিম উদ্দিনসহ একটি সঙ্গবদ্ধচক্র বালু উত্তোলন করলে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার তানিয়া সুলতানা,ইউনিয়ন তফসিল অফিসার রফিকুল আমিনসহ পুলিশ ঘটনাস্থালে হাজির হলে বালু উত্তোলনকারীরা উল্টো প্রতিবাদমুখোর হলে এগিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। ঐ সময় এমবি শাহাদাৎ এম নং ০১১১৮২ নামের একটি ড্রেজার ও বিজয় এম নং ১৩৪৬৩ নামের একটি বলগেট আটক করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপস্তিত পুলিশ সদস্যদের উপস্তিতিতে ভুমি অফিসের কর্মকর্তা রফিকুল আমিন নিজেই উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নির্দেশে ড্রেজারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। ঐ সময় নদীর দুইপারে উত্তেজিত হাজার-হাজার জনতা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। সেই সময় অনাকাঙ্খিত ভাবে ড্রেজারে থাকা একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে দুজন লোক আহত হলে বিষয়টি অন্য দিকে মোড় ঘুরিয়ে দেন উপজেলা নিবার্হী অফিসাসহ তফসিলদার নুরুল আমিন।
১৩জনের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা করেন।ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় নুরুল আমিনসহ পুলিশের উপস্হিতে ড্রেজারও বলগেটে আগুন জ্বলছে। আর মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে এলাকার ন নিরোপরাধ মানুষদেরকে ।নিজে বাঁচতে অতি উৎসাহিত হয়ে নুরুল আমিন এ মামলা করেছন বলে এলাকার লোকজন জানান।
অভিযোগ রয়েছে ভুমি তফসিলদার নুরুল আমিন বালু উত্তোলনের সহযোগীর জন্য প্রতি সাপ্তাহে ৩০ হাজার টাকা করে নিতেন জাবির আশরাফের কাছ থেকে। কিন্তু ২৯ তারিখের ঘটনার প্রতিবাদ করার অপরাধে এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের অভিযোগে ঐ এলাকার ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা কানাইঘাট থানার মামলা নং ২৭ (৭)২০১৮ ইং। যেখানে বাণীগ্রামের একাধিকজনকে করা হয়ে মামলার আসামী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া সুলতানা বলেন, আমি মোবাইলকোর্ট করে জব্দ করার পর গাছবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা নুরুল আমিনের জিম্মায় দিয়ে চলে আসি, এরপর কি করে ঘটনাটি ঘটেছে আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে গাছবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি তফসিলদার নুরুল আমিন বলেন, আমি বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর দেখি ধোঁয়াউড়ছে।
ভিডিও ক্লিপের বরাত দিয়ে প্রশ্ন করলে, পুলিশের উপস্হিতিতে ড্রেজার ও বলগেটে আগুন জ্বলছে দেখা যায় তাহলে এলাকার সাধারণ মানুযের বিরুদ্ধে মামলা হলো কি ভাবে তিনি বলেন আমি তা জানিনা। মামলার বিষয় আদালত দেখবে