April 21, 2025, 5:22 am

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেটে বাংলানিউজইউএসডটকমের বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কুলাউড়াপৌর শ্রমিক দলের ইফতার মাহফিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী তিন পরিবার পেল তারেক রহমানের ঈদ উপহার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক ফেরদৌসী সুলতানা দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংখলা কমিটির সভা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইদানিং আমাদের সমাজে নানামুখী অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে — ইউএনও ঊর্মি রায় অপরাধ দমনে শ্রেষ্ঠ হলেন সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো: ইবাদুল্লাহ বালাগঞ্জে ধান চুরিতে বাঁধা দেয়ার হামলা, থানায় মামলা সিলেট -রাজশাহী কালেকশনে কোটি কোটি টাকার হেরোইন ব্যবসা মাল বহন করছে নারীরা সিলেটে সাবেক এমপি মানিকের পিএস এর ভাই রজব আলী গ্রেফতার সিলেটবাসী পেল মেট্রোপলিটন কারাগার
কুলাউড়ায় রাস্তার ইট মেম্বারের বাড়িতে!

কুলাউড়ায় রাস্তার ইট মেম্বারের বাড়িতে!

সিলেটেকু আলো লাউড়া প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল মালিক ফজলুর বিরুদ্ধে একটি রাস্তা থেকে ১৭ হাজার ইট তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুলাউড়া থানার এএসআই বাদল ইটগুলো জব্দ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত লংলা থেকে বেজাবন্দ পর্যন্ত রাস্তার প্রায় ১৭ হাজার ইট তুলে নিয়েছেন ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মালিক ফজলু। ইটগুলো উত্তোলন করে তিনি তার বাড়িতে নিয়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা শামীম মিয়া, শহিদ মিয়া, হারিছ মিয়া ও ফরিদ মিয়া জানান, মেম্বারের উদ্দেশ্য যদি ভালো হতো তাহলে তিনি ইটগুলো তুলে তার বাড়িতে নিতেন না। বিষয়টি তারা তাৎক্ষণিকভাবে কুলাউড়ার ইউএনওকে অবহিত করেন।

ইউএনওর নির্দেশে কুলাউড়া থানার এসআই খসরুল আলম বাদল ঘটনাস্থলে যান এবং ইটগুলো জব্দ করেন। মেম্বার ফজলুর বাড়িতে এখনও অনেক ইট আছে বলে অভিযোগকারীরা জানান।

অভিযুক্ত আব্দুল মালিক ফজলু জানান, ২০১৪-১৫ সালে এক লাখ টাকা এবং ২০১৫-১৬ সালে দুই লাখ টাকায় ইট সোলিং করা হয়। বর্তমানে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের অনুমোদন দেয়া হয়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এই ইট দিয়ে একই ওয়ার্ডের অন্য একটি রাস্তায় কাজ করানোর জন্য বলেন। এতে এমপি সাহেব রাগান্বিত হয়ে ইটগুলো জব্দ করান।

টিলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মালিক জানান, আগে ইট সোলিং করা হয়। বর্তমানে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য টেন্ডার হলে ইটগুলো তুলে নেয়া হচ্ছে অন্য রাস্তায় ব্যবহারের জন্য। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইটগুলো আবার ফজলু মেম্বারের জিম্মায় রেখে এসেছেন। ইটগুলো অন্য রাস্তায় কাজে লাগানোর জন্য ইউএনওর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

কুলাউড়া থানার এসআই খসরুল আলম বাদল বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বৈদ্যশাসন লাকার আবিদ আলীর বাড়িতে প্রায় তিন হাজার ইট এবং গফুর মিয়ার বাড়িতে আধলা সাড়ে ৪-৫ শত ইট পায়। ইটগুলো স্থানীয় লোকজনের জিম্মায় রেখে এসেছি। তবে মেম্বার ফজলুর বাড়িতে যাই নাই।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌ. মো. গোলাম রাব্বি জানান, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি পুলিশ পাঠিয়ে ইটগুলো জব্দ করাই। এলাকাবাসীর অভিযোগ এখানে মোট ১৭ হাজার ইট হবে। তবে জব্দ করা ইটের পরিমাণ ৫-৬ হাজার হবে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com