সিলেটের আলো: গুড়ার শেরপুরে আবাসিক এলাকায় বাসা-বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পৌর শহরসহ উপজেলার একাধিক এলাকার বাসা-বাড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মিনি পতিতালয়’।
মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তিতে দিনে-রাতে চালানো হচ্ছে এসব অনৈতিক ব্যবসা। ওইসব মিনি পতিতালয়ে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করার তথ্য পাওয়া গেছে।, মিনি পতিতালয়ের সন্ধান পেয়ে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযানের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১৯ জুন) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে খদ্দেরসহ সাতজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ছয়জন সটকে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই পুতুল মহন্ত ও এসআই মাসুদ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারীসহ ৭জনকে হাতেনাতে আটক করে।
তারা হলেন- উপজেলার মদনপুর গ্রামের মৃত মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা বেওয়া ওরফে ন্যাড়ানি (৫২), তার বোন স্বামী পরিত্যক্তা শাহিদা খাতুন (৩৫), ধনকুন্ডি গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী রিক্তা খাতুন (২৮), সুত্রাপুর গ্রামের হাফিজার রহমান (৪০), ফজর আলী (৩০), মহিপুর নতুনপাড়া গ্রামের শাহ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২০) ও নন্দীগ্রাম উপজেলার রুপিহার গ্রামের সাগর মিয়া (২২)। এঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটক ৭জনকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৬জন পলাতক রয়েছে।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মদনপুর গ্রামের ওই বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল। স্থানীয় ও আশপাশের এলাকা থেকে মেয়েদের নিয়ে এসে জমজমাটভাবে চালানো হতো এই অনৈতিক কর্মকান্ড। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে