
সিলেটের ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি কারণে প্রসিদ্ধ একটি স্থান । দেশব্যাপী যে এলাকার পরিচিতি। বর্তমানে সে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় হিসেবে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকলেও কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে সম্পদ সৃষ্টি করার নিজ এলাকাতে। আবার কেউ কেউ কেয়ারটেকার দিয়ে হলেও নিজের পিতৃভূমি ও জন্মভূমির মাটির সম্পদ টিকিয়ে রাখেন।আর এই সম্পদেই হয়ে যায় অনেক সময় প্রবাসীদের কাল। কেউ কেউ কেয়ারটেকারকে ম্যানেজ করে প্রবাসীদের সম্পদ লুণ্ঠন করে। আর কেউ কেউ ওয়ারিশান সেজে মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে। ভুমি সংক্রান্ত অনেক বিরোধের ঘটনা রয়েছে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায়। আর এইসব বিরোধের বিষয়ে কোন কোন সময় জনস্রুত এর কথা চিন্তা না করে থানার সেই ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান এর বিরুদ্ধে রয়েছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। এছাড়াও তার দায়িত্বহীনতার কারণে ঘটেছে আইনশৃঙ্খলার অবনতি এমনটা প্রমাণিত হওয়ায় অবশেষে হল খুলনা রেঞ্জে বদলি।
সুনামগঞ্জে জেলা পুলিশের ছাতক থানার গোলাম কিবরিয়া হাসানকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল আইজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে জনসার্থে বদলি করা হয় ।
প্রজ্ঞাপনে সিলেট রেঞ্জের সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ছাতক থানা থেকে বদলিকৃত কর্মস্থল খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে যোগদানের নিমিক্তে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করা হয়। অন্যথায় পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি তাৎক্ষণিক সময়ে স্ট্যান্ড রিলিজ হিসাবে গণ্য করা হবে।
২০০৫ সালে গোলাম কিবরিয়া হাসাব সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ, র্যাবসহ সিলেট রেঞ্জের হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে ফাঁড়ি ইনচার্জ একই জেলার মাধবপুর থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিবরিয়া যেখানেই পোষ্টিং নিয়েছেন সেখানেই দু’হাতে কামিয়েছেন ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা।
গোলাম কিবরিয়া হাসান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশ^ম্ভরপুর থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসাবে কর্মরত থেকে নানা অনিয়ম ঘুস দুর্নীতি, পোষাকী ক্ষমতার অপব্যবহার,সীমান্ত চোরাকারবারিদের সাথে অতি সখ্যতার কারনে জেলার তাহিরপুর সার্কেল (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ) অফিসে ফের পুলিশ পরিদর্শক হিসাবে বদলি করা হয়।
এরপর তাহিরপুর সার্কেল অফিসে থাকা অবস্থায় সেখানেই পূরনো কৌশলে তৎকালীন সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের গুটি কয়েক নেতাকর্মীদের সাথে উপরি আয়ের ধান্দায় চাঁদাবাজি, সীমান্ত চোরাচালান , খনিজ বালি পাথর চুরিকান্ডে গোপনে গভীর সখ্যতা তৈরী করেন। ফের তাকে জেলার দিরাই থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসাবে বদলি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রবাসী অধ্যুষিত শিল্প নগরী, সীমান্ত চোরাচালান, অপরাধ প্রবণ থানা খ্যাত ছাতক ৃথানার ওসি হিসাবে কাঙ্কিত গুড স্টেশনে পোষ্টিং বাগিয়ে নেন তিনি।
নানা কারনে আইনশৃঙ্খলাা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে ছাতক থানা এলাকায়। এসব বিষয় নজরে আসার পর গোয়েন্দা সংস্থা সহ পুলিশ হেডকোয়াটার্স গোপন তদন্তে নামে। যে কারণেই বদলী হয় ছাতকের ওসির ।
Related