April 21, 2025, 3:56 pm

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেটে বাংলানিউজইউএসডটকমের বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কুলাউড়াপৌর শ্রমিক দলের ইফতার মাহফিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী তিন পরিবার পেল তারেক রহমানের ঈদ উপহার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক ফেরদৌসী সুলতানা দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংখলা কমিটির সভা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইদানিং আমাদের সমাজে নানামুখী অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে — ইউএনও ঊর্মি রায় অপরাধ দমনে শ্রেষ্ঠ হলেন সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো: ইবাদুল্লাহ বালাগঞ্জে ধান চুরিতে বাঁধা দেয়ার হামলা, থানায় মামলা সিলেট -রাজশাহী কালেকশনে কোটি কোটি টাকার হেরোইন ব্যবসা মাল বহন করছে নারীরা সিলেটে সাবেক এমপি মানিকের পিএস এর ভাই রজব আলী গ্রেফতার সিলেটবাসী পেল মেট্রোপলিটন কারাগার
জগন্নাথপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

জগন্নাথপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর প্রতিনিধি,…….. জগন্নাথপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ই ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেবের পরিচালনায় সভায় শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার, উপজেলা পানি সম্পদ কর্মকর্তা ড.কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা.সৈয়দ সাইফুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শকওত ওসমান মজুমদার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবরার খাঁন, পাটলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা, পাইলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মখলিছুর রহমান, সৈয়দপুর শাহাড়পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৈয়ব কামালী, জগন্নাথপুর থানার এসআই কবির আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব, সাংবাদিক অমিত দেব প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রসাশসের সর্বস্থরের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
 সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একের পর এক হত্যা করে পাকিস্থানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর রাজাকাররা। শিক্ষক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক বেছে বেছে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে বর্বর কায়দায়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের তখন চুরান্ত পর্যায়। তখনই ১০ থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করে ঘাতক চক্র। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজয়ী বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করে দেয়া যাতে ভবিষ্যতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।
এ সময় সান্ধ্য আইনের মধ্যে রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে অপহরণ করে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৪ই ডিসেম্বর চারদিকে যখন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণে ব্রত, ঠিক তখনই পাকিস্তানি ঘাতকরা মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, সন্তোষ ভট্টাচার্য, শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, আবুল খায়ের, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এছাড়া অনেক বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে যায়। যাদের আজ পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি। এরপর থেকেই প্রতি বছর ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে আসছে দেশবাসী।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com