ওসি সালাহউদ্দিন ও তার প্রথম পরিবার বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু আদালতে মামলাটি দায়ের হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
মামলার বাদী শামসুন নাহার সুইটি বলেন, বিয়ের সময় সালাহ উদ্দিন সিএমপিতে পিএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তার বাবার কাছে থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেয়। সেই টাকা আজও পরিশোধ করেনি। এছাড়া ৩০ ভরি স্বর্ণলংকারও নিয়ে গেছে সে। ২০১৪ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি তাহমিনা আক্তার পান্না নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক মেয়েকে আমার অজান্তে বিয়ে করে। সেই সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। আদালতে সেই বিয়ের নিকাহনামা দাখিল করেছি। আট থেকে নয় মাস ধরে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার চান্দপুর এলাকার আজমিরি খন্দকার ওরফে পপি আক্তার মেরি নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। এখন শুনছি তাকেও নাকি বিয়ে করেছে। এভাবে একাধিক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে মারধর করে ১১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে সালাউদ্দিন। সে বলছে ১১ লাখ টাকা দিলে দ্বিতীয় স্ত্রী পান্নাকে বিদায় করে দেবে। আর টাকা না দিলে সন্তানসহ বাসা থেকে বের করে দেবে। এখন বাচ্চাদের ও সংসারের কোনো খরচও দেয় না সে। এ জুলুমের বিচার দাবি করছি।