পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে, তিনি যত ক্ষমতাশালীই হন না কেন, তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে হুড়হুড় করে টেনে আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দুঃস্থদের মধ্যে ঈদ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পল্টনের বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দুঃস্থদের মাঝে এক হাজার ২০০ পিস শাড়ি, লুঙ্গি ও শিশুদের পোশাক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সমাজে মাদক ভয়াবহ ক্যান্সার রূপে চেপে বসেছে। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাজধানীতে মাদকের সকল আখড়া ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। চলছে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান। ধরা পড়ছে মাদক ব্যবসায়ী। উদ্ধার করা হচ্ছে প্রচুর মাদকদ্রব্য। আসুন সবাই মিলে জঙ্গিবাদের মতো মাদককেও দমন করি। মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো খবর জানা থাকলে পুলিশকে জানাবেন।
কমিশনার আরও বলেন, যারা মাদকের ব্যবসা করে বা মাদক ব্যবসায় অর্থলগ্নি করে, ঘর ভাড়া দেয়, আস্তানার জায়গা দেয় তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঢাকা শহরের কোথাও কোনো মাদকের আস্তানা থাকবে না। মাদক বিরোধী অভিযানে নিরিহ কাউকে হয়রানির অভিযোগ পেলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশ রাতে পাহাড়া দেয় বলেই সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন।
দুঃস্থদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিএমপি ঈদে, শীতে ও যে কোনো দুর্যোগে সবার পাশে থাকে। এটা পুলিশের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মানুষ হিসেবে কর্তব্য। ঈদে নতুন কাপড় পড়বে সবাই এই চিন্তা করেই প্রতিবছর ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
Related