পুলিশ জানায়, ৬ মাস পূর্বে লিমুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে বাড়ৈখালী বাজারের চাঁন সুপার মার্কেটের দর্জিঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক খোকনের। গত ২৮শে আগস্ট বিকালে বাড়ৈখালী গ্রামের আ. মতিনের মেয়ে লিমু প্রেমিক খোকনের দোকানে যায়। লিমু সেখানে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। প্রেমিক খোকন প্রলোভন দেখিয়ে লিমুকে দোকানের ভেতর রেখে রাত্রি যাপন করে। খোকন ভোররাতে লিমুকে চলে যেতে বললে সে টাকা দাবি করে। টাকা না পেলে লিমু ঘটনা ফাঁস করে দিবে বলে জানায়। এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে খোকন গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে লিমুকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ কাপড়ের র্যাকের বাক্সে লুকিয়ে রেখে ঠাণ্ডা মাথায় দোকানদারি করে। পরদিনও সারাদিন দোকানদারি করে রাত ১১টার দিকে লিমুর লাশ বস্তায় মুড়িয়ে মার্কেটের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। ৩১শে আগস্ট দুপুরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খোকন পালিয়ে যায়। পুলিশ ওইদিনই দোকানের র্যাকে রক্তের দাগ ও লাশ পচা গন্ধের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোকনের দুই ভাই ও ২ কর্মচারীকে আটক করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) কাজী মাকসুদা লিমার নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোববার দিন দুই সন্তানের জনক খোকনকে টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান জানান, খোকন আদালতে স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় লাশ উদ্ধারের পর লিমুর বাবা বাদী হয়ে খোকনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।সুত্রঃ মানবজমিন