মধ্য রাতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন স্বামী বাদল মিয়া। পরে স্বামী স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের একসঙ্গে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে তাদের মুক্ত করেন। মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের সাহিলী গ্রামে শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে শিবালয় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, যুবকসহ এক গৃহবধূকে আটকে রাখার ঘটনা তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।
মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল আমিন ডিউক জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী হওয়ায় ভবিষৎতের কথা মাথায় রেখে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
জানা যায়, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সকালে গ্রামবাসী বাদলের বাড়িতে ভিড় জমায়। পরে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জিয়াউর রহমান জিয়া ওই গৃহবধূ ও যুবকের পায়ের শিকল খুলে দেন এবং বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চালান।
ওই গৃহবধূর স্বামী রিকশাচালক বাদল মিয়া জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী আরান মিয়ার পরকীয়া প্রেম চলছিল। শুক্রবার মধ্য রাতে রিকশা চালিয়ে বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রী ও আরানকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাদের দুইজনকে পায়ে শিকল পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।