‘প্রথম মামলায় জামিন নিয়ে আসার পর আমার বিরুদ্ধে আবার নারী নির্যাতনের মামলা দিয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এই অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। তারপর আমি ৭৭ দিন হাজত খেটেছি, বিনা অপরাধে’ – বলেন খায়রুল আলম। শেখ খায়রুল আলম বলেন, তিনি আদালতে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। অনেক মানবাধিকার সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু তার মনে হয়েছে, পুরুষদের পক্ষে কেউ নেই, পুরুষের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। ‘আমি আইন ও সালিশ কেন্দ্রে গিয়েছি। উনারা বলে, আমরা পুরুষের কোনও কাজ করি না। এরপর ব্লাস্ট বলে আরেকটি সংগঠনের কাছে গিয়েছি। উনারাও বলেন,আমরা পুরুষের কাজ করি না। আমি বললাম, আমি তো নাগরিক এদেশের। নাগরিক হিসেবে আমার আইনের সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। উনারা বললেন, আমরা পুরুষের মামলা করি না। তাহলে আমরা পুরুষরা কোথায় যাব? আমাদের পুরুষদের তো একটা যাওয়ার জায়গা থাকতে হবে।’ সেখান থেকেই এই সংগঠনের জন্ম। শেখ খায়রুল আলম তৈরি করলেন, পুরুষদের অধিকার রক্ষার সংগঠন। শেখ খায়রুল আলম বলছেন, তারা প্রচুর সাড়া পাচ্ছেন। অনেক পুরুষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। নানা বিষয়ে বুদ্ধি-পরামর্শ চাইছেন। ‘প্রতিদিন দেশ বিদেশে থেকে আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। অনেকে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু আমরা কি করতে পারি। আইন তো আমাদের পক্ষে না।’ ফারুক সাজেদও এই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন একজন ভুক্তভোগী হিসেবে। কিন্তু নিজের জীবনের ঘটনা তিনি এখনই প্রকাশ করতে চান না। বললেন, সময় আসলে প্রকাশ করবো। ‘পশু অধিকারেরও প্ল্যাটফর্ম আছে, পুরুষের জন্য কিছু নেই’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সবার জন্য প্লাটফর্ম আছে। নারীদের জন্য, শিশুদের জন্য, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য। এমনকি পশু অধিকার রক্ষার জন্য। কিন্তু পুরুষদের জন্য কোন প্লাটফর্ম নেই। বাংলাদেশে পুরুষ এখন এতটাই ভালনারেবল যে তার নামে একটি মামলা দিলে, একটা অভিযোগ করলে, সেটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। সত্য মিথ্যে যাচাইয়ের কোন ব্যাপার এখন আর নেই এখানে।’ ‘বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশনের’ কাছে প্রতিদিন অনেক ফোন আসে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে এর মধ্যে পারিবারিক সমস্যাই বেশি। সূত্র: বিবিসি বাংলা