.হেলাল আহমদ, সিলেটের আলো::
শনিবার (২ ডিসেম্বর)বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপজেলায় প্রথম বারের মত দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ায় প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও বাড়তি আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনী কোন মার্কা না থাকলেও সনদ নাম্বার দিয়ে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। ভোটাররা সবাই সচেতন হওয়ায় অনেকটা কৌশল অবলম্বন করে তাদের ভোট প্রয়োগ করেন। তবে ভোট প্রদানকালে প্রার্থীদের মধ্যে আন্তরিকতা দেখা গেছে। প্রথমবারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটার ও প্রার্থীদের পাশাপাশি জনসাধারণদের মধ্যেও ছিল নির্বাচনী আমেজ।
সুত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকের সংখ্যা মোট ৩৬ জন। তমধ্যে প্রার্থী ছিলেন ১৮ জন। ২৩ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বশির আহমদ । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বর্তমান সভাপতি মো. গয়াছ মিয়া পেয়েছেন ১৩ ভোট। সহ-সভাপতি পদে মো. বশির মিয়া পেয়েছেন ১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আব্দুল করিম পেয়েছেন ১৭ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফাজ উদ্দিন পেয়েছেন ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. আবুল ফজল পেয়েছেন ১৪ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. নজমুল ইসলাম চৌধুরী ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আব্দুল বাছিত পেয়েছেন ১৭ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. হাসির আলী পেয়েছেন ১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী উদীচি শিল্পি গোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক দ্বীপক কুমার দেব পেয়েছেন ১৭ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে জুহেল মিয়া ও শাহজাহান মিয়া উভয়ই ১৮+১৮ ভোট পাওয়ায় (সমান-সমান) তাদের নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।এই ফলাফল পরে জানানো হবে। দপ্তর সম্পাদক পদে আবু মিয়া পেয়েছেন ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী অনন্ত দাশ পেয়েছেন ১৪ ভোট। কার্যকরী সদস্য পদে ২ জনের মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে সদস্য পদে সাংবাদিক আবুল কাশেম আকমল পেয়েছেন ১৮ ভোট। তার সিরিয়াল অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দী অনিল চন্দ্র দে পেয়েছেন ১৬ ভোট। অপর কার্যকরী সদস্য পদে রনি মিয়া পেয়েছেন ২০ ভোট। সিরিয়াল অনুযায়ী তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী সদস্য পদে ছালিক মিয়া পেয়েছেন ৯ ভোট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা দলিল লেখক সমিতির সহ-সভাপতি দিলনুর আহমদ দিলু ও নির্বাচন কমিশনারের দায়ীত্বে ছিলেন জেলা দলিল লেখক সমিতির অর্থ সম্পাদক শহীদ সরওয়ার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হুদা।
প্রধান পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষনা করেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও সিলেট বিভাগীয় সভাপতি প্রদীপ রায় নিতাই।
প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন বশির উদ্দিন ও কালীপদ দাস।
পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব বজলুর রশীদ চৌধুরী, দলিল লেখক আব্দুল মতিন, শাহিন আহমদ তালুকদার।
এদিকে দুপুরে নির্বাচন পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিকুল হক, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মুন্না, কাউন্সিলর মামুন আহমদ, পৌর সচিব মো. মোবারক হোসেন, পি.জি.পি নিউজ ২৪.কম এর সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ নুরুল করিম, জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তাজ উদ্দিন আহমদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি মো. নুরুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজাদ আলী, তরুন রাজনীতিবিদ জয়দ্বীপ সূত্রধর বিরেন্দ্র, মো.বদরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া, সমাজ সেবক মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক মেম্বার ছাদেকুর রহমান সাদেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফরোজ ইসলাম মুন্না, সাবেক পৌর কমিশনার সুহেল আমীন, পৌরসভার সহ-কর আদায়কারী আব্দুস সালাম, সহ-কর নির্ধারক মো.এলাইছ মিয়া, পৌর ক্যাশিয়ার রঞ্জিত কুমার শীল প্রমূখ।