নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবলে হবিগঞ্জ-সিলেট আসনের সংরক্ষিত এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর একটি সভায় শুক্রবার সন্ধ্যায় হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ। হামলায় কেয়া চৌধুরী আহত হন। এরপর সন্ধ্যায় আরেকটি পথসভায় হামলার বর্ণনাকালে সভামঞ্চে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি।
এরপর তাকে দ্রুত বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাত সাড়ে ৯টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ওসমানী মেডিকেলের আইসিইউতে আছেন।
জানা যায়- শুক্রবার বিকালে বাহুবল উপজেলার মিরপুর বেদেপল্লিতে সমাজসেবার চেক ও বয়স্ক ভাতার কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারা মিয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি অভিযোগে এনে বাধা প্রদান করেন। এসময় সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এমপি কেয়া ও তারা মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় মঞ্চ ভাংচুর ও মাইক ছিনিয়ে নেয়া হয়। হামলায় কেয়া চৌধুরী আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় মিরপুর বাজারে চৌমুহনায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কেয়া চৌধুরীর অনুসারীরা। সভায় তিনি বক্তব্য প্রদনকালে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। এরপর তাকে দ্রুত বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া বলেন, কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা করা হয়নি। বরং গত উপনির্বাচনে কেয়া চৌধুরী নৌকার বিরোধিতা করায় আজ নেতার্কর্মীদের রোষানলে পড়েছেন।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান- মিরপুর বেদেপল্লিতে সমাবেশে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। পরে আরেকটি সভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় এমপি কেয়া চৌধুরী অসুস্থ হয়ে পড়েন।