মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৬টি আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা। সড়কগুলো আঞ্চলিক পর্যায়ে হলেও উপজেলা সদরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি মাধ্যম হচ্ছে এই সড়কগুলো। কিন্তু সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। এসব ভাঙাছুরা সড়ক দিয়ে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চলাচল করলেও যেন তাদের চোখের আড়ালে রয়েছে। ওই ভাঙছুরা ১৬টি সড়কের অধিকাংশ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করতে হয়। তার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভেঙে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে হলেও যাতায়াত করতে হচ্ছেন। জরুরী রোগী নিয়ে যাত্রাকালে অথবা জনসাধরণের চলাচলে অনেকটা ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতিদিন চাকুরিজীবিসহ জরুরী কাজে বের হওয়া লোকজন সময় মতো গন্তব্যে পৌছাতে অধিক সময় হাতে নিয়ে বের হতে হয়।
গত ২০০৮সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এই সাড়ে ৮বছরের ভিতরে অধিকাংশ সড়কে কোনো প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়াই লাগেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে সড়কগুলোর অধিকাংশই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়ক ও সেতুর মুখ ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক সময় যাত্রীদের নামিয়ে চালকরা তাদের গাড়ি নিয়ে পারাপার হতে হয়।
জানাযায়, ভেঙে যাওয়া উপজেলার অধিক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো হচ্ছে-‘কালিগঞ্জ-দাউদপুর সমশপুর সড়ক’ ‘পীরেরবাজার-মান্দারুকা সড়ক’ ‘বিশ্বনাথ-হাবড়া-ছালিয়া সড়ক’ ‘নকিয়াখালি-দশপাইকা সড়ক’ ‘রামপাশা-প্রীতিগঞ্জ সড়ক’ ‘জানাইয়া-শ্রীধরপুর সড়ক’ ‘পীরেরবাজার-মাছুখালী সড়ক’ ‘প্রীতিগঞ্জ-লামাকাজী সড়ক’ ‘বাগিচা-হাবড়া সড়ক’। আর জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো হচ্ছে- ‘হোসেনপুর-মুফতিরবাজার-বাওনপুর সড়ক’ ‘রাজাগঞ্জ-রামপাশা সড়ক’ ‘মিয়ারবাজার-বাইশঘর সড়ক’ ‘মিয়ারবাজার-বাহরামপুর সড়ক’ ‘লামা চাঁন্দশিরকাপন সড়ক’ ‘শাহজিরগাঁও-সিরাজপুর সড়ক’ ও ‘সিলেট সুনামগঞ্জ মহাসড়ক থেকে মির্জারগাঁও সড়ক’। দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলোর কাজ না হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপর ক্ষোব্ধ হয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ।
এব্যাপারে খন্দকার গোলাম শওকত বলেন, বেশ কয়েকটি রাস্তা মেরামতের জন্য তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।