শাহজালাল বিশ্বিবিদ্যালয় প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের সাইফুর রহমান প্রতীক (২৫) নামের এক সাবেক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে প্রতীকের বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সাইফুর রহমান প্রতীকের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
কতোয়ালি থানার এস আই আকবর হোসেন ভূইয়া জানান, ‘কাজলশাহ এলাকার একটি বাসা থেকে সোমবার বিকেলে পুলিশ ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত প্রতীকের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ধারণা করছে আগের দিন রোববার রাতে ঐ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন হাসপাতালের মর্গে তার লাশ রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, আত্মহত্যার বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, প্রতীকের বোন শান্তা তাওহিদা এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আমার কলিজার টুকরা আমার আদরের একমাত্র ভাই আমার প্রতীক আর নাই…। শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগকে আমি ছাড়ব না, অনার্স এ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ছেলেটাকে বিভিন্ন ইস্যু বানায়ে মাস্টার্স-এ সুপারভাইজার দেয় নাই. বিভিন্ন কোর্সে নম্বর কম দিয়েছে! আমার ভাইটা টিচার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, এটাই তার অপরাধ…। গত ছয় মাস ধরে ডিপার্টমেন্ট তিলেতিলে মেরে ফেলছে আমার ভাইকে…আমার কলিজার টুকরা কষ্ট সহ্য না করতে পেরে কাল সুইসাইড করেছে..।”
আরেক স্ট্যাটাসে শান্তা তাওহিদা লেখেন “আমার ভাইটারে গত মাসেও আমি জিজ্ঞেস করেছি আমি কী তোর বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করবো? আমার ভাই বলছে, আপু আমি জিআরই দিয়েছি, আপু আমি ইউকে চলে যাব, আমার তো রেফারেন্স লাগবে! শিক্ষকরা ভয় দেখাইছে কিছু করলে রেফারেন্স লেটার দিবে না…আমার ভাইরে মেরে ফেলছে ওরা …আমি কই পাবো আমার টুকরারে আমি কই পাবো?”