মিরাজুল ইসলাম : বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমস আর এই গেমসের নেশায় পড়ে রাজধানীতে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোরী। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেন্ট্রাল রোডের বাসায় নিজের পড়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অ্যাপ স্টোর , প্লে স্টোর , ইন্টারনেট বা গুগল কোথাও খুঁজে পাবেন না এই ‘ ব্লু হোয়েল ‘গেম , খুঁজে পেতে পারেন কারো পাঠানো কোনো গোপন
লিংকের মাধ্যমে । এটি একটি সুইসাইড গেইম অর্থাৎ গেম খেললে মৃত্যু অনিবার্য ।
গেমটি বাধ্য করে তার ইনস্টলকারীকে সবগুলো স্তর খেলার জন্য । ‘ ব্লু হোয়েল ‘ গেমটি ৫০ টি লেভেলে বিভক্ত । F57 নামক রাশিয়ান হ্যাকার টিম গেমটি তৈরি করে । ২০১৩ সালে তৈরি হয়েছিলো গেমটি , কিন্তু ২০১৫ সালে VK. com নামক সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এবং প্রচুর ডাউনলোড হয় গেমটি । ফিলিপ বুদেকিন নামক রুশ হ্যাকার যে কিনা সাইকোলজির ছাত্র ছিলো এবং ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার হয়েছিলো – তার মাথার বুদ্ধি
থেকেই জন্ম নেয় এই গেমটি ।
রাশিয়ান আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতারের পর সে জানায় হতাশাগ্রস্হদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার জন্যই সে গেমটি বানিয়েছে । হতাশা গ্রস্হদের পৃথিবীত বেঁচে থাকার
কোনো অধিকার নেই ।
রাশিয়ায় এ গেম খেলে মৃতের সংখ্যা ১৫১ জন , এবং রাশিয়ার বাইরে মারা গেছে ৫০ জন। জুলিয়া ওভা ও ভের্নিকা ওভা নামক দুই বোন প্রথম এই গেইমের শিকার । গেমটির ৫০ তম লেভেলে গিয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে ওরা সুইসাইড
করেছিলো । জুলিয়া ওভা মৃত্যুর ঠিক আগে সোশাল নেটওয়ার্কে নীল তিমির ছবি আপলোড দিয়ে লিখেছিলো – ‘ The end ! ‘
গেমটি মূলত একটি ডার্ক ওয়েভের ( dark wave ) গেম । ডার্ক ওয়েভ হলো ইন্টারনেটের অন্ধকার জগৎ । মনে রাখবেন – গেমটি আপনি একবার ডাউনলোড করলে আর কখনোই আনইনস্টল করতে পারবেন না । গেমটি আপনার ফোনের সিস্টেমে ঢুকে আপনার আপনার আই পি এড্রেস , মেইলের পাসওয়ার্ড , ফেসবুক পাসওয়ার্ড , কনট্যাক্ট লিস্ট , গ্যালারী ফটো এমনকি আপনার ব্যাংক ইনফর্মেশান !
আপনার লোকেশান ও তারা জেনে নিচ্ছে !
গেমটির প্রথম দশটা লেভেল খুবই আকর্ষনীয় । ইউজার এডমিন কিছু মজার মজার নির্দেশনা দেন – যেমন রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠে হরর ছবি দেখা , চিল্লাচিল্লি করা।