সিলেটের আলোঃঃ ভাইরাসের চেয়ে আতংক শক্তি কি বেশি
আজ কথা হল সুস্থ হওয়া একজন রোগীর সাথে।
মাত্র কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়েছেন।
প্রতিদিন ঔষধ হিসেবে দেয়া হতো প্যারাসিটামল আর কিছু এন্টিবায়োটিক।
তার অভিজ্ঞতা হতে জানা গেলো হাসপাতালে একটা রুমে একা রাখা হতো।
সময়মতো ডাক্তার দেখে যেতেন আর ডাক্তার ভিজিটের সময় অক্সিজেন এর বাইরে আর কিছু না।
হাসপাতাল আর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মুখে ডাক-ঢোল না পিটিয়ে একটু উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি জোর দিলে কতৃপক্ষের কাছে পৌছানো যেত সহজে।
এতে আতংকের বদলে সাধারন ব্যাধী সর্দি-জ্বরের মতো রোগ জয় করতে পারা যেতো সহজে।
একটু ভেবে দেখুন, সারা বাংলাদেশে যত রোগী মারা যাচ্ছে সে সংখ্যক রোগী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় অন্যান্য রোগে সে নজীর বিদ্যমান।
অথচ,
সেখানে আমরা আতংক ছড়িয়ে গরীব মানুষের পেটে লাথি দিচ্ছি, সাথে দেশের অর্থনীতির চাকা ক্রমশ দুর্বল করছি।
হ্যা। মানলাম বিশ্বকে একঘরে করে রেখেছে কভিড-১৯
কিন্তু বিশেষজ্ঞ দের মতে বাংলাদেশে বি-ক্যাটাগরীর ভাইরাস হওয়ায় ততটা বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারছেনা বরং আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো রোগ জয় করে সুস্থ হয়ে উঠছে।
তা হোক পরিবেশগত কারনে বা অন্য কারনে কিন্ত বাস্তব সত্য হচ্ছে দেশে করোনা রোগীরা সুস্থ হচ্ছে।
তাই আক্রান্ত হলে নিয়মনীতি মেনে চললে এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে একটু উন্নতি সাধন করলে
সহজে অতিক্রম করা সম্বভ হতো।
আপনার দৃষ্টিতে কারা আতংক ছড়ায়,
১। চাকুরীজীবিরা।
ঘরে বসে বেতন পাবার সহজ পন্থা হিসেবে লক-ডাউনের পক্ষে সাফাই গায়।
২। জনপ্রতিনিধি৷
তারা সরকারী ত্রান বন্টন যত আসবে তাদের লাভ। সরকারী সম্পদ কে নিজেদের বলে চালিয়ে দিবে,ভোট ব্যাংক শক্ত হবে সাথে দুর্নীতির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
৩।যারা দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে সেখানে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাবে সাথে কিছুদিন আরাম-আয়েশের জীবন যাপন সুযোগ হবে।
৪। অন্য একটা প্রতিপক্ষ আছে যারা চায় সুযোগের সদ্বব্যবহার করে দেশ তলিয়ে যাক এতে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল হবে।
৫। বিদেশ হতে অর্থ আয়ের সহজ মাধ্যম লক-ডাউন।
যারা ঘরে বসে লম্বা স্ট্যাটাস দেন তারা কি কখনো পাশের মানুষের সাহয্যে এগিয়ে গেছেন না কোনো গরিবের পাশে দাড়াতে দেখেছেন?
না! কখনোই দেখা যায়নি। ওরা বিবেকহীন।
এ থেকে বুঝে নিন ওরা সুযোগ সন্ধানী।সু সময়ে চাটুকার আর দুঃসময়ে গরিবের পেটে লাথি দেয়া এদের অভ্যাস।
এতো উপদেশ দিলাম এবার রোগ নিয়ে একটু আলোচনা করি।
প্রথমত, ইউরোপ সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো লাশের মিছিল দেখে বিশ্ব বিভেক হতভম্ব হয়েছে এবং দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের অনেকে লক-ডাউন তুলে নিয়েছে আবার অনেক দেশ জুন হতে স্কুল কলেজ খুলে দিচ্ছে।
দেখুন, আমরা দারিদ্র্য দেশের মানুষ তার মধ্যে নিজেরাই যদি আতংকিত করি তাহলে উৎসাহ দিবে কে।
আসুন বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাড়াই অযথা অসহায় মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে চলছাতুরী না করে সরকারী বন্টনগুলো স্বচ্ছভাবে বন্টনকরি
এবং সর্বোপরি এ চরম বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতি কমাই তাহলেই আমরা দিন বদলের পালায় সুদিনের পাল তুলতে পারবো।
জাগ্রত হোক বিবেক-জাগ্রত হোক মানবতা।
লেখকঃ জুবায়ের আহমেদ।
শিক্ষার্থী,
এল, এল,বি শেষ পর্ব
সিলেট ল’কলেজ।