মাদক সেবন করতে এসে
সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের জালে দুই ছিনতাইকারী আটক,
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া,
সিলেট মেট্রোপলিটন একাকা ছিনতাই কারীদের কবল নিরাপদ রাখতে এবং জান মালের নিরাপত্তা দিতে এসএমপির পুলিশ কমিশনার মো: রেজাউল করিম পিপিএম ( সেবা) এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের চৌকস কর্মকর্তারা ।
এর ধারাবাহিকতায় সিলেটের বন্দর এলাকার মহাজনপট্টি রোডে কাষ্টঘরে সিলেট নগরের চিহ্নিত দুই ছিনতাইকারীর উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারে। পরে নেয়া হয় আইনি ব্যবস্থা।
২৬ জানুয়ারী রোববার বিকেলে কাষ্টঘর থেকে মো: জুয়েল ও শাহেদুল ইসলাম সুমন নামে ২ যুবক কে অস্ত্রসহ আটক করে কোতোয়ালি থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি।
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ইবাদুল্লাহ জানান, ২৬ জানুরী রোববার বিকেলে গোপন সোর্সের মাধ্যমে ছিনতাই কারী জুয়েল ও সুমনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর
এএসআই (সহকারী ঊপ-পুলিশ পরিদর্শক) ইলিয়াস রহমান এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মো: জুয়েল ও সায়েদুল ইসলাম সুমন নামের দুই ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়।
সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল হাসান জুয়েলও সুৃমন নামের দুই ছিনতাইকারী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই দুইজন সিলেট মহানগরের চিহ্নিত ছিনতাইকারী। এদের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়,আটক জুয়েল বাবু পিরোজপুর জেলার বাড্ডা থানার ভান্ডারিয়া উপজেলার মেদিরাবাদ এলাকার তারাবুনিয়া গ্রামের মো. আব্দুস সালাম মোল্লা এর ছেলে।
সিলেটে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে।
আটক সায়েদুল ইসলাম সুমন৩৫) সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সিরাজ পাড়া গ্রামের মো. এবাদ উদ্দিনের ছেলে।
সিলেটে তার বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা রয়েছ চুরি ও ছিনতাইয়ের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন , মূলত কাষ্টঘরে মাদক সেবন করতে এসে পুলিশের জালে আটক হয় চিহ্নিত ছিনতাইকারী জুয়েল ও সুমন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া সাইফুল ইসলাম জানান, ছিনতাইকারীদের হেফাজত হতে ০২(দুই) টি ধারালো চাকু উদ্ধার পূর্বক গ্রেফতার করা হয়েছে। সিডিএমএস পর্যালোচনায় উক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিনতাই মামলা পাওয়া গেছে। আইী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
উল্লেখ্য, সিলেট নগরীকে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাই মুক্ত রাখতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম পিপিএম ( সেবা) প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভোরবেলা অনেক সময় পুলিশের ডিউটি ক্লোজ হওয়ার পর অন্য পার্টি আসার আগেই মাঠ খালি পেয়ে সুযোগ সন্ধানীরা অনেক ধরনের অপরাধ করে থাকে। স্বল্প সময়ে ছিনতাই এর কাজটাই বেশি হয়ে থাকে।
সেটি চিন্তা করে রাত্রিকালীন সময়ের ডিউটিতে তো পুলিশ কর্মকর্তারা যাতে সকাল আটটা পর্যন্ত স্ব-স্ব স্থানে বহাল থাকেনএবং দিনের পার্টি আসার পর তাদের কাছে ডিউটি অত্যন্তর করে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন কঠোরভাবে। এতে করে অপরাধের মাত্রা অনেকটা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
চৌকস পুলিশ কমিশনার এমন নির্দেশনা
প্রশংসার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করছেননগরীর ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের সহ অনেকেই।
Leave a Reply