April 22, 2025, 3:00 am

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেটে বাংলানিউজইউএসডটকমের বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কুলাউড়াপৌর শ্রমিক দলের ইফতার মাহফিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী তিন পরিবার পেল তারেক রহমানের ঈদ উপহার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক ফেরদৌসী সুলতানা দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংখলা কমিটির সভা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইদানিং আমাদের সমাজে নানামুখী অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে — ইউএনও ঊর্মি রায় অপরাধ দমনে শ্রেষ্ঠ হলেন সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো: ইবাদুল্লাহ বালাগঞ্জে ধান চুরিতে বাঁধা দেয়ার হামলা, থানায় মামলা সিলেট -রাজশাহী কালেকশনে কোটি কোটি টাকার হেরোইন ব্যবসা মাল বহন করছে নারীরা সিলেটে সাবেক এমপি মানিকের পিএস এর ভাই রজব আলী গ্রেফতার সিলেটবাসী পেল মেট্রোপলিটন কারাগার
লুঙ্গি পরে অফিস করেন জেলা রেজিস্ট্রার গোপালগঞ্জে

লুঙ্গি পরে অফিস করেন জেলা রেজিস্ট্রার গোপালগঞ্জে

জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের বিশ্বাসযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা রেজিষ্ট্রার হিসাবে গাজী আবু হানিফ গোপালগঞ্জে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তার দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ্যে রুপ নেয়। জেলা পাঁচটি উপজেলার পাঁচটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে প্রতিমাসে তিনি প্রায় এক লক্ষ টাকা মাসোহারা নেন। এছাড়া দলিল প্রতি এক’শ টাকা করে কমিশন গ্রহন করেন। প্রতিমাসে জেলায় গড়ে প্রায় ৫-৭ হাজার দলিল সম্পাদন হয়। দলিল থেকে কমিশন বাবদ প্রতি মাসে তিনি প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা আদায় করেন। অফিস পরিদর্শনের নামে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গেলে তাকে সম্মানী হিসাবে ন্যুনতম এক লক্ষ না দিলে তিনি ক্ষুদ্ধ হন এবং ফাঁক ফোকড় সৃষ্টি করে ওই কর্মকর্তাকে শায়েস্তা করতে নানা ভাবে হয়রানি করে থাকেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন সাব-রেজিষ্ট্রার অভিযোগ করে বলেন, জেলা রেজিষ্ট্রার সাহেব অফিসের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে ফেলেছেন। উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস পরিদর্শনের সময় তিনি বহিরগত লোকজন নিয়ে অফিসে আসেন। ওই সব বহিরাগতদের দিয়ে তিনি সাব-রেজিষ্ট্রাদের সাথে ঘুষের দেন দরবার করান। জেলা রেজিস্ট্রার পদটি একটি জেলার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বশীল পদ হলেও তিনি সব সময় লুঙ্গি পরে অফিস করেন। সাব রেজিস্ট্রারদের নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা করার কথা থাকলেও তিনি তা না করে অফিসার ও কর্মচারীদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি করেন। ফলে অফিসে এখন আর কাজের পরিবেশ নেই।
ভুক্তভোগী জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মোহন বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, গত মাসে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি একটি দানপত্র রেজিস্ট্রেশনের জন্য যান। কিন্তু তিনি দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে ফিরে আসেন।
এ ব্যাপারে ওই অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার শাহ আব্দুল আরিফের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে আমরা দান পত্র দলিল রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিয়েছি। দানপত্র দলিল বৈধ হলেও সঙ্গত কারনে আপাতত আমরা তা করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার গাজী আবু হানিফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি অল্প কয়েক দিন হলো জেলা রেজিস্ট্রার হিসাবে যোগদান করেছি। সব কিছু সত্য নয়। তিনি বার বার রিপোর্টি প্রকাশ না করতে প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com