সিলেটের আলোঃঃ সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শ্রীরামপুর বাইপাসে চলছে রমরমা পাথর মজুত ও লোকালয়ে নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙ্গা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ওই এলাকায় পাথর ভাঙ্গার কাজ। বর্তমান করোনাকালে সরকারের স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে এখানকার মালিক ও শ্রমিকরা চালিয়ে যাচ্ছেন পাথর ভাঙ্গার কাজ। কিন্তু রাতে তাদের চালিত নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিনের আওয়াজে ঘুম নেই এলাকার মানুষের মধ্যে। এছাড়া, ছাত্র-ছাত্রীরা তীব্র আওয়াজের কারণে লেখাপড়া করতে পারে না। তাছাড়া, নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিনের আওয়াজে ওই এলাকার অনেকেই রোগীদের নিয়ে রয়েছেন আতংকে।
জানা যায়, দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সুরমা নদীর ডাইক ও শ্রীরামপুরে পাথর মজুত ও নিষিদ্ধ ক্রাশার দিয়ে লোকালয়ে রমরমা এই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। কিছুদিন পূর্বে আলমপুর এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পিছনে সুরমা নদীর ডাইকের উপর তার পাথর মজুত ও নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙ্গার সাইটে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালায়। অভিযানে তাকে পাথর মজুত ও লোকালয়ে নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙ্গার দায়ে জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শ্রীরামপুরে লোকালয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন পাথর মজুত ও নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে রমরমা পাথর ভাঙ্গার কাজ।
এদিকে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিনের আওয়াজে ঘর-বাড়িতে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে। একদিকে নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিনের আওয়াজে বাচ্চারা লেখা-পড়া করতে পারতেছে না, অন্যদিকে এলাকায় রোগীদের নিয়ে অনেকে রয়েছেন আতংকে। এছাড়া, নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিনে পাথর ভাঙ্গার ধুলাবালির কারণে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যাচ্ছেনা। এমনকি পাথর ভাঙ্গার ধুলাবালি অনেকের বাড়ি-ঘরে ডুকতেছে। এর কারণে ছোট ছোট বাচ্চাদের সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পিছনে সুরমা নদীর ডাইকের উপর পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানের পরও সাইফুল ইসলাম পাথর মজুত অব্যাহত রেখেছেন। এবং সুরমা নদীর পানি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বেড়ে গেলেও সাইফুল ইসলাম সুরমা নদীর ডাইকের উপর দিয়ে পাথর বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করছেন। কিন্তু শ্রীরামপুর বাইপাস এলাকায় এখনও অভিযান না হওয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা পাথর মজুত ও নিষিদ্ধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙ্গার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে জানাতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার সব ব্যবসা অবৈধ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু চৌধুরী বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই, তবে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।