জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর গণতন্ত্র সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। নূর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছিল আন্দোলনের প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে নয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এরশাদের আমলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। কারণ জাতীয় পার্টির আমলে উন্নয়ন ছিল, সুশাসন ছিল, গুম, হত্যা, ধর্ষণ ছিল না। আজ নূর হোসেনের দেহ বিক্রি হচ্ছে। নূর হোসেনের নামে দিবস পালন করা হচ্ছে কিন্তু নূর হোসেনের পরিবারের খবর কেউ রাখে না। একমাত্র পল্লীবন্ধু হুসাইন মুহাম্মাদ এরশাদ আজকের দিন পর্যন্ত তার পরিবারের খরচ বহন করছেন।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরোও বলেন, ‘দেশে হিংসার রাজনীতি চলছে। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবছে না। এর পরিবর্তন হতে হবে। এভাবে কোনো দেশ, জাতি চলতে পারে না। জাতীয় পার্টি জনগণের কল্যানের রাজনীতি করে। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে হবে। জাতীয় পার্টি আর কারোও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি নয়, সরকার গঠন করতে চায়।
আজ শুক্রবার সিলেট জেলা জাতীয় পার্টি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘বিগত তিন বৎসরে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির হাইব্রিড নেতৃত্বের কারনে জেলা জাতীয় পার্টি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। হাইব্রিড ও অশুভ শক্তির হাত থেকে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টিকে বাচাঁতে হবে। জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম নেই। জাতীয় পার্টিকে গতিশীল ও শক্তিশালী করে আগামী নির্বাচনে বৃহত্তর সিলেটের ১৯টি আসন পুনরুদ্বার করতে হবে। সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয় পর্টিকে সংগঠিত করতে হবে।’
সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি বাহার খন্দকারের সভাপতিত্বে ও আব্দুস শহীদ লশকর বশিরের পরিচালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর জাতীয় যুব সংহতির সাধারন সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, জেলা জাপার যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক নজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা মহিলা পার্টির সহ-সভানেত্রী রুনা আক্তার, জেলা শ্রমিক পার্টির আহবায়ক মুর্শেদ খান, মহানগর শ্রমিক পার্টির আহবায়ক এম. বরকত আলী, জেলা সেচ্ছাসেবক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কিউএম ফররুখ আহমদ, জেলা পার্টির সদস্য সহিদুর রহমান তাহের, অপু রানা সেন নারায়ন, জেলা জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল মালেক ফারুক, মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, জেলা ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম লুকু, গোলাপগঞ্জ উপজেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক খলকুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা জাপার সাধারন সম্পাদক নোমান উদ্দিন চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন, আব্দুল মতিন মেম্বার, ওয়াহিদুর রহমান হালন মেম্বার, আব্দুস শহিদ মেম্বার, ফররুখ আহমদ মেম্বার, গোলাপগঞ্জ উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি শাহান উদ্দিন নাজু, সাধারন সম্পাদক কাওছার হোসেন হীরা, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নুল ইসলাম, জকিগঞ্জ জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু, কানাইঘাট উপজেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক আজাদ স্বাধীন, যুগ্ম-আহবায়ক ওয়াহিদুর রহমান বিজয়, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন, রাসেল আহমদ, সাদিকুর রহমান, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শফিউর রহমান, সাধারন সম্পাদক সুমন আহমদ, জাপা নেতা সুফিয়ান আহমদ, আব্দুল বাছিত, ছাত্রসমাজ নেতা এস.এ কামরুল, আবুল কালাম, আব্দুল আওয়াল ছানী, সুমন আহমদ প্রমুখ।