৷ সিলেটর আলোঃঃ সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাসের কারণে কার্যত লকডাউনে। ঘর থেকে বের হতে পারছেনা কেউ। কাজ কর্ম নেই দিনমজুর হতদরিদ্রদের। এ কারণে খাদ্য সংকটে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে হতদরিদ্রদের। এ কারণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে তাদের সহযোগিতায় খাদ্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ গ্রুপের ফ্যামিলির বন্দু সদস্যরাও ব্যবসায়ী চাকরিজীবী বসে থাকতে পারেননি। তারাও হতদরিদ্র কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তা প্রদানে মনস্থির হন। কিন্তু এ গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্যই । এতো টাকা-কড়ির যোগান কেমনে দেবেন তারা। সেই চিন্তা থেকে শুরুতে সদস্যরা অল্প কিছু টাকা দিয়ে ২০০ জনকে খাদ্য সামগ্রী প্রদানের উদ্যোগ নেন।
কিন্তু তাদের মন সায় দিচ্ছিল না। আরও বেশি মানুষের সহযোগিতা করতে উদগ্রিব ছিলেন তারা। তখনই পথ খুঁজে পান। যোগাযোগ করেন প্রবাসে থাকা বন্দু সাথে। তাতে সাড়াও মেলে। সদস্যদের নিজ উদ্যোগ আর প্রবাসীদের অর্থায়নে তার শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাবার সামগ্রী তুলে দিয়েছে রাতে ।
উদ্যোক্তারা জানান, খাদ্য সামগ্রীর প্রতি প্যাকেটে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তৈল, আলু, রয়েছে। কুচাই ও স্রীরাম পুর নুয়াগাউ এলাকার কয়েকটি গ্রামের একদম হতদরিদ্রদের মাঝেই তারাই রাতের আঁধারে একটি করে খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ ঘরে নিয়ে পৌঁছিয়েছেন। এজন্য তারা কোন ফটোসেশনও করেননি; কোন প্রচারণাও করেননি।’
তারা বলছিলেন, মানবিকতা থেকেই মূলত সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে তারা এ দুর্যোগময় সময়ে হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেছেন। হতদরিদ্র কর্মহীনদের মুখে একটু হলেও হাসি ফুটাতে পারাটাই তাদের আত্মতৃপ্তি। এজন্য এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করায় প্রবাসে অবস্থানরত সুধিদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, সিলেটের মোগলাবাজার থানার কুচাই ইউনিয়ন এলাকা কয়েকজন উদ্দোমী তরুণ মিলেই এ গ্রুপ তৈরি করেছেন তারা হচ্ছেন রিয়াদ আহমদ, সালমান আহমদ, মাহবুব, সুহেব, বদরুল,মাছুম,শাহাদ, আমেরিকান প্রবাসী হিমেল আহমদ, মুন্না, খালেদ, ফাহাদ ছাদিকুর রহমান সুহেল, আরো জানা যায় মুরাদ আহমদ এর পরিশ্রম ও পরিকল্পনায় এই কাজটি তাদের করতে সক্ষম হন!