সিলেটের আলো :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রতিটি সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ঝাকে ঝাকে ভারতীয় সুপারি, গরু, মাদক সহ নিষিদ্য পন্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। করিডোর বন্দ থাকায় রাজস্ব বঞ্চিত সরকার, কৃষকের ফসলী জমি ও রাস্তাঘাট নষ্ট হুমকির মূখে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব। কোন সৎ অফিসার সীমান্ত পাড়িতে যোগদান করলে অল্প দিনেই কর্মস্থলের সমাপ্তি টানতে হয়।

সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকার বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাকভর্তি সুপারি, গরু, মহিষ এবং ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা ও আমদানী নিষিদ্ধ নাছির বিড়ি, সিগারেট, চা পাতা, গাড়ীর টায়ার পার্স, মটরসাইকেল নিরাপদে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্ত টহল জোর দ্বার না থাকায় চোরাচালানের নিরাপদ স্বর্গরাজ্যে পরিনত হচ্ছে গোয়াইনঘাট। আর এর সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে জন প্রতিনিধি সহ সমাজের উটতি বয়সের যুবক। গরু ডাকানোর সময় তাদের সাথে থাকে দেশীয় অস্ত্র যার কারনে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। সীমান্তের চোরাকারবারীদের আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান- গত বৎসরের নভেম্বর মাস হতে গরু আমদানীর বৈধ মাধ্যম করিডোর বন্ধ রয়েছে, এখন বৈধ মাধ্যমে গরু আমদানী করা যাচ্ছেনা। সীমান্ত পথে গরু আমদানী করতে সীমান্ত প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারত হতে বাংলাদেশে সুপারি, গরু আমদানী কর হয়। এছাড়া গরু আমদানীতে বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষকে সম্মানী দিতে হয়। রমজান মাস, ইদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা কে সামনে রেখে গোয়াইনঘাট সীমান্ত পথ দিয়ে প্রায় ১কেটি কিংবা তারও বেশি ভারতীয় গরু আমদানীর র্টাগেট রয়েছে গরু ব্যবসায়িদের। করিডোর থাকলে সরকার এখাত হতে রাজস্ব হারাতো না, ব্যবসায়ীরা সু-নিদিৃষ্ট পথ দিয়েই গরু আমদানী করতে পারত, প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলকে চাদা দিতে হত না। আরও জানান যেহেতু করিডোর বন্ধ, বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষ সালামি দিয়ে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মনোনিত লাইনম্যানদের মাধ্যমে লিয়াজো করে সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে ভারতীয় গরু আনা হচ্ছে। তবে সুপারি, গরু আমদানীর সুবাধে একটি চক্র ভারত হতে সীমান্ত পথ দিয়ে চা-পাতা, বিড়ি, সিগারেট, ইয়াবা সহ অন্যান্য পন্য সামগ্রী বাংলাদেশে নিয়ে আসছে অবাদে। এ গুলোর সাথে গরু ব্যবসায়ীরা জড়িত নহে। সরকার করিডোর চালু করলে রাজস্ব হারাতে হত না, আমাদের চাঁদা দিতে হত না, জনসাধারনের ফসলের কিংবা রাস্তা ঘাটের ক্ষতি সাধিত হত না। ভারত থেকে বাংলাদেশ নামার পর টাটা ডি আই পিক আপ দা রা পরিবহন করা হয় এগুলা মাল আনলোড হয় হরিপুর বাজার আশপাশ কিছু সংখ্যক গাড়ি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সিলেট কাদির বাজার, হকার মার্কেট, কষ্ট গর, শহরের বিভিন্ন এলাকায় আনলোড করা হয়

সীমান্ত এলাকারবাসীন্ধা রহিম উদ্দিন, মনা মিয়া, তাজুল ইসলাম, আলামিন, ওমর ফারুক, শাহান আহ্মেদ, চাঁন মিয়া, , আনোয়ার আলী, মকবুল হোসেন, সুরুজ আলী, দোলোয়ার হোসেন সহ বেশ কয়েক ব্যক্তি সাথে আলাপকালে তারা জানান- সীমান্ত পথে অবৈধ পন্থায় ভারত হতে সুপারি, গরু আনায় কৃষকদের সোনালী ফসল ব্যাপক হারে নষ্ট হচ্ছে। যার কারনে অনেক সময় তারা রাতে দিনে বাড়ী ঘরে নিরাপদ ভাবে বসাবাস করতে পারছে না। স্থানীয় ভাবে অনেকেই ইউপি চেয়ারম্যান সহ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে জানালেও তারা বিষয়টি কর্ণপাত করছে না। সীমান্তের বসবাসকারীরা নিরুপায় হয়ে চোরাকাবারীদের হাত হতে পরিত্রান পেতে বসতবাড়ীর আঙ্গীনায় এবং ফসল রক্ষার জন্য বাঁশের বেড়া দিচ্ছে এবং রাতে পাহারা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা আরও জানায় গোয়াইনঘাট উপজেলার, রাধানগর বাজার, জাফলং, পেটুয়া ক্যাম্প, লামা পুঞ্জি, হাজিপুর পীরের বাজার, পশ্চিম জাফলং, লাখাট, পানতুমাই, সোনার হাট, বিডিআর ক্যাম্প এর আশেপাশে, বাবুর কুনা, দিয়ে ভারতীয় এসব সুপারি, কসমেটিক্স, গরু, মদ, গাজা, ভারতীয় অস্ত্র, ইত্যাদি এবং চোরাকাবারী পন্য বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। কিন্তু সীমান্ত প্রশাসন নিবর ভূমিকা পালন করছে।
এবিষয়ে জানতে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলে অবৈধ চোরাকারবারির বয় কিচ্ছু মাতি না কারণ ওরা বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায় বিষয়টি অনেকেই অবগত করেছেন, তাই আগামী আইন শৃঙ্খলা ও চোরাচালান বিরুদী বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হবে এবং উর্দ্বতন মহলকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত ভাবে বিষয়টি অবহিত করব।
এবিষয়ে জানতে বিজিবির সোনার হাট ক্যাম্প, বিজিবি পেটুয়া ক্যাম্পে, সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ভারতীয় সুপারি, গরু আমদানীর বিষয় অস্বীকার করে বলেন সীমান্তে আমাদের টহল জোরদার রয়েছে। আমরা সংবাদ পেলে অভিযান পরিচালন করছি।
এবিষয়ে গোয়াইনঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন- মাদক দমনে আমি যোগদানের পর থেকে অভিযান অব্যহত রেখেছি এবং মাদক সহ আসামী নিয়মিত আটক করছি। সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় গুলো বিজিবির ব্যাপার। তারপর উর্দ্বতন মহলকে বিষয়টি অবহিত করব।
পর্ব =১