সিলেটের আলোঃঃ করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে সোমবার থেকে চলাচল শুরু হয়েছে গণপরিবহন। পরিবহন চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্বসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে।
দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি আঞ্চলিক সড়কেও চলাচল করছে গণপরিবহন। আর এসব পরিবহন সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না- তা তদারকিতে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রবেশদ্বারগুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। আর এসব চৌকিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (উত্তর) জ্যোতির্ময় সরকার ও সহকারি কমিশনার আবুল খায়েরের নেতৃত্বে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কুমারগাঁও বাসটার্মিনাল এবং সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কের মজুমদারি বাসস্টেশন এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) নিকুলিন চাকমা ও সহকারি কমিশনার মো. আশিদুর রহমানের নেতৃত্বে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হুমায়ুন রশিদ চত্বর, লালাবাজার ও সিলেট-তামাবিল সড়কের টিলাগড় পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসএমপির ট্রাফিক বিভাগের তদারকির চিত্রও তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে-
১। বাস/মিনিবাসের পাশাপাশি দুইটি আসনের একটি আসনে একজন যাত্রিকে বসিয়ে অপর আসনটি ফাঁকা রাখা, স্বাস্থবিধি মোতাবেক শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখিত আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশী যাত্রি বহন না করা এবং দাঁড়িয়ে কোন যাত্রি বহন না করার বিষয়ে মহানগর এলাকার নির্ধারিত স্টেশন হতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যানবাহানসমূহ ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে।
২। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ পূর্বক বাস/মিনিবাসসমূহ সিলেট মহানগর এলাকার নির্দিষ্ট বাস ষ্ট্যান্ড হতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে।
৩। সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার গণপরিবহনসমূহ একইভাবে নিয়ম মেনে সিলেট মহানগর এলাকায় প্রবেশ করছে কিনা এ বিষয়ে নজরদারী করা হচ্ছে।