সাত সকালে সিলেটে হয়েছে বৃষ্টি। সামান্য বৃষ্টি পড়ে সিলেটের আবহাওয়া ছিল সহনীয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। রোদের তীব্রতা তেমন না থাকলেও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়ার এই অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
এই ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রোজাদাররা।
ইমন নামে এক গার্মেন্টেস ব্যবসায়ী জানান, ঈদ উপলক্ষে জামা কাপড় এসতে শুরু করেছে। কাপড়ের বস্তা মার্কেটের দোকানগুলোতে তুলতে হয়। এতদিন গরম সহনীয় পর্যায়ে ছিল। তবে আজ ভ্যাপসা গরমে কাজ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
রিকশাচালক রুবেল মিয়া জানান, রোদের তীব্রতা এত বেশি না তার পরেও গরম লাগছে, রিকশা চালানোই দায় হয়ে যাচ্ছে। শরীর থেকে শুধু ঘাম ঝরছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সামগ্রিকভাবে এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। সিলেটের আকাশ আগামী কয়েদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এর কয়েকদিন পরে সিলেটে বৃষ্টিপাত হবে পারে। সিলেটের আকাশে মেঘ থাকার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা্ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে। তবে এ মাসের শেষের দিকে সিলেটে দুইট ঝড় হতে পারে। দুই থেকে তিন দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখীর আশঙ্কা আছে।