জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে রাহেলা জাহান সুমাইয়ার হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় গোলাপগঞ্জ পৌর সদরের চৌমুহনীতে সিলেটের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী মাওলানা জাবেদ আহমদ ও তরুণ সমাজসেবী হিলাল আহমদের যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল আহাদ, পৌরসভার কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, কাউন্সিলর ফজলুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন, শ্রেষ্ঠ সমবায়ী ব্যক্তিত্ব আরজমন্দ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য ও রাজনীতিবীদ আব্দুল কাদির সেলিম, প্রবীন শিক্ষক হারুনুর রশীদ, তরুণ সমাজসেবী হাবিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুল্লাহ দস্তগীর, সাংবাদিক এম.জি মোস্তফা প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা রাহেলা জাহান সুমাইয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।বক্তারা আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুমাইয়া হত্যার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। সুমাইয়া হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির জোর দাবিও জানান তারা।
জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট উপজেলা বাঘা ইউনিয়নের গোলাপনগর রজবমারা গ্রামের মৃত ময়বুর রহমানের কন্যা রাহেলা আক্তার সুমাইয়া (২৪) এর লাশ শশুর বাড়ী দক্ষিণ সুরমার কুচাই গ্রামে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি বেশ রহস্যজনক বলে অনেকেই মনে করছেন। বিশেষ করে সুমাইয়ার লাশ যেভাবে ঝুলে ছিলো তাতে অনেকের অভিমত কোন ব্যক্তির পা মাটির উপরে ভরে থাকলে মারা যাওয়ার কথা নয়। সুমাইয়ার হাঁটু ভাঙ্গা লাশের ছবিটি রহস্যের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি বিশেষ করে ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে প্রচারিত হচ্ছে। সুমাইয়ার ঝুলন্ত লাশের ছবি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হলে তার পিত্রালয়ের লোকজন এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তাদের বক্তব্য সুমাইয়াকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে দায় এড়াতে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এজন্য তারা সুমাইয়ার স্বামী মাহমুদুল হাসান সুলতানকে দায়ী করছেন।এতে ক্ষোভে গর্জে উঠেছে সুমাইয়ার জন্মভূমি বাঘা ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগণ, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন পেশার মানুষ।
.