সড়কে বসতে না দেওয়ায় তার নেতৃত্বে সোমবার বিকেলে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) মেয়রের ওপর হামলার চেষ্টা ও নগর ভবনে হামলা করে হকাররা।

এ ঘটনায় তাকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরো শতাধিক হকারের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনের আইন সহকারী শ্যামল রঞ্জন দেব বাদী হয়ে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেন।  ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়াজ উদ্দিন ফয়েজ।

এদিকে, এ ঘটনার পর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সিলেটের বিশিষ্টজনেরা। এছাড়া হকারদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ও ঘোষণা করেছেন তারা। সোমবার রাতে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে জরুরী সভা শেষে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল।

এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশিষ্টজনদের নিয়ে নগরীতে হকার উচ্ছেদে অভিযান চালান সিসিক মেয়র আরিফুল হক।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে বন্দরবাজার এলাকায় সড়কের প্রায় অর্ধেক পথজুড়ে বসে হকাররা। এতে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মী সেখানে গিয়ে তাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে হকাররা তাদের ওপর হামলা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সেখানে গেলে তাকে লক্ষ করে হকাররা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। একই সাথে তারা সিটি করপোরেশনেও হামলা চালায় বলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রকিবের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে হকাররা সিটি করপোরেশন কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে সিটি করপোরেশনের কর্মচারী আনসার আলী, সুমন আহমদ ও ইউসুফ মিয়া আহত হয়েছেন