জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের ডিসি নীলাদ্রী লেকে নিখোঁজ ওয়াহিদ পলিন (২৮) নামের এক পর্যটকের লাশ ৩দিন পর ভেসেঁ উঠেছে। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় লেকের মধ্য খানে ভাসঁমান অবস্থায় লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাবা গোলাম মোস্তোফা সন্তানের লাশ দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সাথে থাকা আতœীয় স্বজনদের আহাজারীতে সীমান্ত এলাকায় এক হ্নদয় বিধায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে নিহতের লাশ দেখতে ছুটে আসে স্থানীয় হাজার হাজার জনতা। টাংগুয়ার হাওরের দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট শাকিল আহমেদ জানান,নিখোঁজের পর থেকে গত দু-দিন পুলিশ,বিজিবি ও ডুবুরীদল প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে লেকের পানিতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ পলিনের সন্ধ্যান পায় নি। যে স্থানে পলিন নিখোঁজ হয়েছে সে স্থান থেকে অনেক ৩০গজ দুরে লাশ ভেসেঁ উঠেছে আজ সকালে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। স্থানীয় জাকির হোসেন,সোহাইন মোহাম্মদ গাজী জানান,গত শনিবার লেকে নিখোঁজের পর থেকে লাশ পাওয়া যায় নি। আজ সোমবার সকালে লাশ ভেঁেসে উঠেছে। লাশ দেখতে সীমান্ত এলাকায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। এভাবে একজন পর্যটক লেকের পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছে খুব কষ্ট লাগছে।
উল্লেখ্য,নিহত ওয়াহিদ পলিন(২৮)কুমিল্লা জেলার মোরাদনগড় উপজেলার সাংলাজুর গ্রামের মোস্তোফা কামালের ছেলে। পলিন ঢাকা বসুন্ধারা গ্রুপে চাকুরী করতেন। মিরপুর ১৪এর ডেসকো কোয়াটারে বসবাস করেন। গত শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর উপজেলার উদ্যোশে রওনা হয়ে ট্যাকের নীলাদ্রী,বারেকটিলা টাংগুয়ার হাওর সহ বিভিন্ন পর্যটন ষ্পট ঘুরে রাতে ট্যাকেরঘাটে অবস্থান করে ওয়াহিদ পলিন সহ তার ৫জন বন্ধু। শনিবার দুপুর ২টার সময় ওয়াহিদ পলিন,রশনি নাহার,নাহিদ,কিশোরী ফেরদৌস বাধঁন সহ সবাই মিলে নীলাদ্রী লেকে গোসল করতে নামে। সাতার না জানায় পলিন লেকের কাছেই গোসল করে। এক প্রর্যায়ে অসাবধানতা বসত গভীর জলে তলিয়ে যায়। অনেকে খুজাঁ খুজিঁর পর লাশ উদ্ধার করা যায় নি।